বাংলাদেশের ৬৪ জেলা: ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বৈচিত্র্যময় চিত্র

বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা প্রত্যেকটি তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ। নিচে সংক্ষেপে প্রতিটি জেলার বর্ণনা দেয়া হলো:

  1. ঢাকা : বাংলাদেশের রাজধানী ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র। এখানে লালবাগ কেল্লা, আহসান মঞ্জিল, ও জাতীয় সংসদ ভবন উল্লেখযোগ্য।
  2. গাজীপুর : শিল্পাঞ্চল ও শিক্ষানগরী। এখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক ও ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান উল্লেখযোগ্য।
  3. নারায়ণগঞ্জ : বন্দরনগরী ও শিল্পকেন্দ্র। শীতলক্ষ্যা নদী এখানে প্রবাহিত।
  4. নরসিংদী : বস্ত্র ও তাঁতশিল্পের জন্য বিখ্যাত।
  5. কিশোরগঞ্জ : এখানকার বিজয় সিংহের দীঘি ও অষ্টগ্রাম বিখ্যাত।
  6. মানিকগঞ্জ : পদ্মা ও যমুনা নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত।
  7. মুন্সিগঞ্জ : পদ্মা সেতু এবং প্রাচীন বিক্রমপুর এখানেই অবস্থিত।
  8. টাঙ্গাইল : মহেঞ্জোদারো সহ প্রাচীন নিদর্শনের জন্য বিখ্যাত।
  9. ময়মনসিংহ : ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত। এখানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিখ্যাত।
  10. জামালপুর : জামালপুরের গারো পাহাড় ও যমুনা নদী উল্লেখযোগ্য।
  11. শেরপুর : মধুটিলা ইকোপার্ক ও গারো পাহাড় অন্যতম আকর্ষণ।
  12. নেত্রকোনা : দুর্গাপুরের বিজয়পুরে চুনাপাথরের খনি বিখ্যাত।
  13. রাজশাহী : আমের জন্য বিখ্যাত। এখানে বারিন্দ গবেষণা জাদুঘর অবস্থিত।
  14. চাঁপাইনবাবগঞ্জ : আম উৎপাদনে বাংলাদেশে শীর্ষে।
  15. নওগাঁ : পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার ও সোমপুর মহাবিহার বিখ্যাত।
  16. নাটোর : কাচারি বাড়ি ও উত্তরা গণভবন উল্লেখযোগ্য।
  17. পাবনা : পাবনা সায়েন্স ও টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয় বিখ্যাত।
  18. বগুড়া : মহাস্থানগড় প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন।
  19. জয়পুরহাট : পাঁচবিবির চিনি কল ও খনির জন্য পরিচিত।
  20. সিরাজগঞ্জ : যমুনা সেতু ও কাপড়ের জন্য বিখ্যাত।
  21. খুলনা : সুন্দরবন ও মোংলা বন্দর উল্লেখযোগ্য।
  22. বাগেরহাট : ষাটগম্বুজ মসজিদ ও সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার।
  23. সাতক্ষীরা : সুন্দরবনের সন্নিকটে অবস্থিত।
  24. যশোর : বাংলাদেশের প্রথম জেলা। বেনাপোল স্থলবন্দর এখানে অবস্থিত।
  25. মাগুরা : মধুমতি নদীর তীরে অবস্থিত।
  26. ঝিনাইদহ : এখানে গড়াই নদী প্রবাহিত।
  27. নড়াইল : নড়াইল এক্সপ্রেস মাশরাফি বিন মুর্তজার জন্য বিখ্যাত।
  28. চুয়াডাঙ্গা : দেশের প্রথম আলো মুক্তাঞ্চল।
  29. কুষ্টিয়া : লালন শাহর মাজার ও শিলাইদহ কুঠিবাড়ি।
  30. মেহেরপুর : মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ।
  31. বরিশাল : শের-ই-বাংলা একে ফজলুল হকের জন্মস্থান।
  32. পটুয়াখালী : কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত।
  33. ভোলা : দেশের সর্ববৃহৎ দ্বীপ।
  34. বরগুনা : সুন্দরবনের অংশবিশেষ রয়েছে।
  35. ঝালকাঠি : ভাসমান গৌরীচন্না ও কীর্তিপাশা জমিদার বাড়ি।
  36. পিরোজপুর : প্রাচীন সা’দী মসজিদ।
  37. চট্টগ্রাম : বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর। পাহাড় ও সাগরের সংমিশ্রণ।
  38. কক্সবাজার : বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত।
  39. বান্দরবান : বগালেক, নীলগিরি এবং পাহাড়ি সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত।
  40. রাঙামাটি : কাপ্তাই লেক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদর দপ্তর।
  41. খাগড়াছড়ি : আলুটিলা গুহা ও রিছাং ঝর্ণা।
  42. নোয়াখালী : সুবর্ণচর ও হাতিয়া দ্বীপ।
  43. লক্ষ্মীপুর : মেঘনা নদীর তীরবর্তী।
  44. ফেনী : মাইজদী কোর্ট ও পরশুরামের জন্য বিখ্যাত।
  45. চাঁদপুর : ইলিশ মাছের জন্য বিখ্যাত।
  46. কুমিল্লা : শালবন বিহার ও রাণীর কুঠির জন্য বিখ্যাত।
  47. ব্রাহ্মণবাড়িয়া : কসবা উপজেলায় তিতাস নদী।
  48. মুন্সীগঞ্জ : পদ্মা সেতু নির্মাণস্থল।
  49. মৌলভীবাজার : লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ও চা বাগান।
  50. হবিগঞ্জ : সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও চা বাগান।
  51. সিলেট : মাজার শহর হিসেবে পরিচিত। হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহ পরান (রহ.) এর মাজার।
  52. সুনামগঞ্জ : টাঙ্গুয়ার হাওর ও জাদুকাটা নদী।
  53. কিশোরগঞ্জ : হাওর-বাওড় ও মিঠামইন উপজেলায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এর বাড়ি।
  54. গোপালগঞ্জ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়া।
  55. ফরিদপুর : পদ্মা নদীর তীরবর্তী জেলা।
  56. মাদারীপুর : শকুনী লেক ও বালাসী ঘাট।
  57. শরীয়তপুর : পদ্মা নদীর জন্য বিখ্যাত।
  58. রাজবাড়ী : পদ্মা নদীর তীরবর্তী জেলা।
  59. কুড়িগ্রাম : ব্রহ্মপুত্র নদ ও চিলমারী বন্দর।
  60. রংপুর : তাজহাট জমিদার বাড়ি ও কারমাইকেল কলেজ।
  61. নীলফামারী : সৈয়দপুর বিমানবন্দর ও তিস্তা ব্যারেজ।
  62. দিনাজপুর : কান্তজির মন্দির ও রামসাগর দীঘি।
  63. লালমনিরহাট : তিস্তা নদী ও হাতীবান্ধা উপজেলা।
  64. পঞ্চগড় : তেঁতুলিয়া উপজেলা ও চা বাগান।

প্রত্যেকটি জেলা তার নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা মিলেই দেশের বর্ণময় ও বৈচিত্র্যময় চিত্র। আপনি যখন ৬৪ জেলা ঘুরে দেখবেন তখন এই সৌন্দর্যগুলো উপভোগ করতে পারবেন।

আরও পড়ুন: ঈদুল আযহা (২০২৪) যে তারিখে হতে পারে

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top