সোরিয়াসিস একটি চর্ম রোগ। পৃথিবীতে বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। আর তাই প্রতি বছর সোরিয়াসিস দিবস পালন করা হয়। আজ আমরা এই সোরিয়াসিস রোগ নিয়ে বিস্তারিত জানবো।
বাংলাদেশের বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। কিন্তু কেউ জানে না যে, তারা কিভাবে আক্রান্ত হলো। কারন, এই রোগ হওয়ার জন্য কোন জীবানু দায়ী নয়। এই রোগ ছোয়াচে নয়। তাহলে কিভাবে হয় এই রোগ!
মেডিকেল সাইন্স এখন পর্যন্ত কিছু ধারণা করতে পেরেছে মাত্র। আপনি যদি ঘন ঘন আপনার পরিবেশ পরিবর্তন করেন, জলবায়ু যদি পরিবর্তন হয়, আপনি যদি খুব বেশি মানসিকভাবে কষ্ট পান, খুব বেশি যদি টেনশন করেন তাহলে এই রোগ আপনার হতে পারে।
পূর্বে বংশে কারও ছিল, কিংবা আপনি যদি অতিরিক্ত মোটা হোন তাহলেও এই রোগ হতে পারে। তবে বেশিরভাগ মানুষই টেনশনকে দায়ী করেছেন এই রোগের কারন হিসেবে।
সোরিয়াসিস হলে আসলে কি হয়? আপনার শরীরের যেকোন জায়গা থেকেই সোরিয়াসিস শুরু হতে পারে। পিঠে, পায়ে কিংবা মাথা ও বুক হতে শুরু হতে পারে এই রোগ।
এই রোগ হলে মাছের আশের মতো চামড়া ওঠে। সোরিয়াসিস বেশ কয়েক প্রকার রয়েছে। তাই লক্ষণের মধ্যে একটু তফাৎ থাকতে পারে। কিন্তু রোগ একটাই।
বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সব দেশেই এই রোগের চিকিৎসা রয়েছে। তবে সেটা কেবল নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। কোনভাবেই আপনি সারাজীবনের জন্য কিউর করতে পারবেন না।
আমি বলবো হোমিওপ্যাথির কথা। কারন, আমি নিজেও এই রোগে আক্রান্ত ছিলাম এবং বর্তমানে বেশ ভালো আছি। ভালো কোন হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের কাছে গিয়ে আপনার সমস্যা বিস্তারিত বলুন।
তিনি আপনাকে নিরাশ করবেন না। অন্তত ৩ মাস একটানা চিকিৎসা নিন। সব নিয়ম-কানুন মেনে চলুন। আশা করি, আপনার রোগ নিয়ন্ত্রণে আসবেই।
যারা সোরিয়াসিসে আক্রান্ত তাদের বলছি, গরুর মাংস একটু কম খান, নিয়মিত ব্যায়াম করেন, শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমানোর চেষ্টা করেন।
বেশি বেশি করে হাটার চেষ্টা করেন, মনকে ফ্রেশ রাখেন যেন দুঃশ্চিন্তা করতে না হয়। জীবনে দুঃখ এলেও সেটাকে গ্রহণ করবেন না। শরীরে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করুন।
জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালস এর ক্লোসালিক ওয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। সেটা খুব ভালো কাজে দেয়। তবে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন ব্যবহারের আগে।
আমি কি কি ওষুধ দিয়ে ভালো হয়েছি বা নিয়ন্ত্রণে আছে সেই ব্যাপারে অন্য আরেকদিন বলবো। সবাই নজর রাখবেন করতোয়ায়। আপনার সাথে আমার লক্ষণগুলো যদি মিলে যায় তাহলে হয়তো কেবল ওষুধ কিনে সেবন করলেই হয়তো সুস্থ হয়ে যেতে পারেন।
আলহামদুলিল্লাহ, অনলাইনে একসময় সেবা দিতাম। তখন বাংলাদেশ সহ বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আমার কাছে কল এসেছে। তারা কথা বলেছে এবং সেবা নিয়েছে। অনেকে একদম সুস্থও আছে। তো, কথা হবে আবার আরেকদিন।