এমপি আনোয়ারুল আজীম একজন সংসদ সদস্য। তিনি ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে হত্যার স্বীকার হয়েছেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ (সিআইডি) অখিলেশ চতুর্বেদী বলেছেন যে, বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমের মরদেহ পুলিশ এখনো খুঁজে পায়নি।
তবে তারা এমন কিছু প্রমাণ পেয়েছেন যে, তা থেকে মনে করা হচ্ছে এমপি আনোয়ারুল আজীমকে হত্যা করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।
অখিলেশ চতুর্বেদী (সিআইডি) জানান, এ ঘটনার তদন্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আমরা কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছি, যার ভিত্তিতে মনে করা হচ্ছে যে ওনাকে হত্যা করা হয়েছে।’
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সিআইডি প্রধান জানান, পূর্ব কলকাতার নিউ টাউন অঞ্চলে যে ফ্ল্যাটে আনোয়ারুল আজীম উঠেছিলেন, সেটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবগারি দপ্তরের কর্মকর্তা সন্দীপ কুমার রায়ের।
সন্দীপের কাছ থেকে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন আখতারুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি। আখতারুজ্জামান ওই ফ্ল্যাটে আনোয়ারুল আজীমের থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আজ কলকাতার নিউ টাউনের অভিজাত আবাসিক এলাকা সঞ্জীবনী গার্ডেনের ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছে।
তবে অখিলেশ চতুর্বেদী ওই ফ্ল্যাটে কি ধরণের জিনিসপত্র রয়েছে কিংবা কোন রক্তের দাগ আছে কিনা সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি। তিনি যোগ করেন, পুলিশের ফরেনসিক বিভাগ তদন্তের কাজ শুরু করেছে। তদন্তে বেশ একটু অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অখিলেশ চতুর্বেদী আরও জানান, আনোয়ারুল আজীমের সঙ্গে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ওই ফ্ল্যাটে এসেছিলেন। তবে তারা কোন সময় বেরিয়ে গেলেন তদন্তের স্বার্থে আমরা তা বলতে পারছি না।
এটুকু বোঝা যাচ্ছে যে, ১৩ই মে উনি এখানে এসেছিলেন। তবে তার আগেও এসেছিলেন কিনা সে বিষয়ে আমরা এখনো জানি না।
এমপি আনোয়ারুল আজীমকে হত্যা করে দেহ খন্ড খন্ড করা হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে এই সিআইডি কর্মকর্তা কোন কথা বলেননি কিংবা বলতেও চাননি।
এমপি আনোয়ারুল ইসলামের জীবনী থেকে জানা যায়, তার কোন ছেলে সন্তান নেই। দুই মেয়ে রয়েছে। দুই মেয়েই পড়াশোনা করছে। সংবাদ মাধ্যমে তারা সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি বাবা হত্যার কঠোর বিচার চেয়েছে।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে নার্সকে ধর্ষণ ও পরে নৃশংসভাবে হত্যা