গুরুজনদের উক্তি আমরা সবাই পছন্দ করি। কারন, ওই উক্তিগুলোর মাঝে জীবনের স্পন্দন খুঁজে পাওয়া যায়। জীবনকে নতুন করে ভাবা যায়।
গুরুজন যারা, তারা তাদের জীবনশৈলী দিয়ে কথাগুলো রচনা করে। তাই ওই সব কথার ভেতরে থাকে শেখার মতো অনেক কিছু।
তোমার যদি জীবন বিষাদময় মনে হয়, ভালো না লাগে, আত্মহত্যা করতে মন চায় তাহলে এই ‘গুরুজনদের উক্তি’ কথাগুলো কানে হেডফোন লাগিয়ে একাকী গভীর রাতে শুনে নিও আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে।
এখন মনোযোগ দিয়ে পড়ো। আশা করি, তোমার একটু হলেও কাজে আসবে। মাথা থেকে দুশ্চিন্তা দূর হবে। মন ফ্রেশ হবে এবং জীবনকে সতেজ মনে হবে। তো চলো শুরু করি এবার।
ঘুমের মধ্যে দেখা স্বপ্নকে নিয়ে বেশি চিন্তা করিও না। আমাদের জীবনে সেই স্বপ্নের তাৎপর্য খুবই কম। তুমি বাস্তবে যা করতে চাও সেটাই তোমার আসল স্বপ্ন।
মানুষ হয়ে জন্ম নিয়ে কখনো অমানুষের মতো আচরণ করো না। মানুষ হতে পারলে তোমার জীবন দুই পৃথিবীর সবজায়গায় সুখী – আর অমানুষ হলে দুই পৃথিবীর সব জায়গায় সবচেয়ে দুঃখী থাকবে তুমি।
জীবন কখনো থেমে থাকার জন্য তৈরী হয়নি। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে তুমি সৎ সাহসের সাথে এগিয়ে যাও। তোমার জীবন অবশ্যই স্বার্থক হবে।
সবসময় নিজের চিন্তাগুলোকে আগে প্রাধান্য দেবে। তবে অন্যের কথাও তোমাকে শুনতে হবে। তোমার চেয়ে বয়সে বড় এবং চরিত্রবান মানুষগুলোর সব কথাকে অবহেলা করিও না।
জীবনে যতো বড় সমস্যা-ই আসুক না কেন, কখনো ভেঙে পড়ো না। কখনো আত্মহত্যার কথা মাথায় আনিও না। কারন, জীবনে এমন কোনো সমস্যা নাই যার সমাধান নাই। শুধু তোমার মনটাকে কন্ট্রোল করিও।
বড় কোন অফিসার হলেই জীবন স্বার্থক হয় না। জীবন স্বার্থক তখনই হয় যখন তোমার দ্বারা কারও ক্ষতি হয় না বরং উপকার হয়।
তুমি যতো ভালো মানুষই হও না কেন, কিছু লোক তোমার গীবত করবেই। কিছু মানুষ তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করবেই। কিন্তু সাবধান! তুমি ভালোর সাথে মন্দগুলোকে গুলিয়ে ফেলো না।
যাদের জীবনে লালবাতি জ্বলছে তাদের বলছি, নীল বাতি জ্বালানোর চেষ্টা আপনাকে করতে হবে। গভীর রাতে সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে চলে যান – অবশ্যই সমাধান পেয়ে যাবেন।
যে মানুষ জীবনে খুব কম ভুল করে তাদের ক্ষেত্রে একটি বিষয় আমি লক্ষ্য করেছি যা একশতভাগ সঠিক। এই মানুষগুলো জীবনে এমন এমন বড় ভুল করে বসে যার জন্য সারাজীবন আফসোস করতে হয়।
আপনি যেখানেই যান – জীবনের যে স্তরেই যান, ত্রুটি-বিচ্যুতি জীবনে থাকবেই। আপনি কখনো শতভাগ খাঁটি হতে পারবেন না। শতভাগ খাঁটি হতে হলে আপনাকে পৃথিবীর বহু কিছু ত্যাগ করতে হবে।
রাগ কমিয়ে ফেলুন। জীবনে শান্তি আসবে। সারাদিন আপনার সামনে কড়-কড় করা মুরগীটিও একসময় চুপ হয়ে যাবে।
বর্তমান যুগে আপনি ভালো থাকতে চাইলে আপনাকে চালাক হতে হবে। তবে কারও সাথে চালাকি করে খুব বেশিদিন ভালো থাকতে পারবেন না।
সব বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা থেকে বিরত থাকুন। কারন, সব বিষয়ে আপনি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারলেও জীবনে অর্থনৈতিক কাজে আসবে একটি বিষয়। তাই পছন্দনীয় একটি বিষয়কে খুব বেশি গুরুত্ব দিন।
এই পৃথিবীতে সবচেয়ে ভালো কোন কিছু যদি খুঁজতে যান তবে তা পাবেন মানুষের মধ্যে। আবার সবচেয়ে খারাপ যদি কোন কিছু খুঁজতে যান সেটাও পাবেন মানুষের মধ্যে। তাই, মানুষ হতে সাবধান।
বর্তমান যুগের বেশিরভাগ মানুষই তাদের মৃত্যুর কথা দিনে ১ বারও মনে করে না। আর তাই তারা এতো নিকৃষ্ট কাজগুলো করার সাহস পায়।
কে আপনাকে সম্মান করলো আর কে করলো না সেটা দেখার বিষয় না। সবসময় দেখবেন, আপনি সবাইকে সম্মান করছেন তো! যদি করে থাকেন তবে এর ফল আপনি ইহকাল, পরকাল – দু’কালেই পাবেন।
ভবিষ্যতে কি হবে, কালকের দিনটা কেমন যাবে তা নিয়ে কখনো দুঃশ্চিন্তা করবেন না। আজকে কি করছেন তাই হচ্ছে মূখ্য বিষয়। কারন, আমাদের জীবনের গ্যারান্টি ১ সেকেন্ডও নাই।
জীবনের সবক্ষেত্রে যুদ্ধ করতে শিখুন। তবে মানুষের সাথে নয় – নিজের মনের সাথে। নিজের মনকে যদি কন্ট্রোল করতে পারেন তবে আপনিই পৃথিবীর সেরা যোদ্ধা।
পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। মানসিক পরিশ্রম এবং বুদ্ধির পরিশ্রমের হিসাবটা একটু আলাদা। যদি সবকিছু সৎ হয়ে থাকে তবে ফলাফলটা অবশ্যই আশা করতে পারেন।
অসৎ ও খারাপ প্রকৃতির লোকেরাও ধনী হয়, তবে তারা কখনো সুখী হতে পারে না।
যতোটা সম্ভব – জীবনে কারও চোখের পানির কারন হওয়া থেকে দূরে থাকুন। সৎ মানুষের চোখের পানি হয়তো আরশে যেতে সময় লাগে না। অসৎ ব্যক্তির হিসাবটা ব্যতিক্রম।
‘গুরুজনদের উক্তি’ কথাগুলো ভালো লাগলে অন্যদের সাথে শেয়ার করিও। আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে ঘুরে আসিও। আর আমাকে যদি কিছু বলতে ইচ্ছে করে তবে কমেন্ট করিও। তোমাদের সবার সুস্থতা কামনা করছি।