নামাজ, যা আরবিতে সালাত নামে পরিচিত, ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরজ।
নামাজ কেবল আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও তাঁর কাছে আত্মসমর্পণের মাধ্যমই নয়, বরং একজন মুসলিমের জীবনকে সুন্দর ও নিয়ন্ত্রিত করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আজ আমরা পাঁচ ওয়াক্ত সালাত বা নামাজের বিষয়ে মৌলিক কিছু তথ্য জানবো। তো আর কথা নয়, চলুন শুরু করা যাক।
নামাজের গুরুত্ব:
নামাজের গুরুত্ব বলে শেষ করা যাবে না। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: আল্লাহর সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে। মনকে পবিত্র করে এবং পাপ থেকে বিরত রাখে। শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা শেখায়। ঈমান ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। পরকালে জান্নাত লাভের মাধ্যম।
নামাজের নিয়ম:
নামাজ আদায়ের পূর্বে অবশ্যই ওজু করে পবিত্র হতে হবে। ওজু শেষে নির্ধারিত সময়ে নিয়ত করে নামাজের জন্য দাঁড়াতে হবে। নামাজের নিয়ম হলো:
- তাকবীরে তাহরিমা: আল্লাহু আকবার বলে হাত বাঁধা।
- কিয়াম: দাঁড়িয়ে সুরা ফাতিহা ও অন্য কোনো সুরা বা আয়াত পড়া।
- রুকু: সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম বলে কোমর থেকে নতিবদ্ধ হওয়া।
- সিজদা: সুবহানা রাব্বিয়াল আলা বলে মাথা মাটিতে রাখা।
- কাআদাহ: বসে তাশাহ্হুদ পড়া।
- সালাম: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ বলে ডান ও বামে সালাম ফেরানো।
ফরজ নামাজগুলোর রাকআত:
- ফজর: ২ রাকাত
- যোহর: ৪ রাকাত
- আসর: ৪ রাকাত
- মাগরিব: ৩ রাকাত
- ইশা: ৪ রাকাত
- জুমআ: ২ রাকাত
নামাজের শেষে দোয়া:
নামাজ শেষে দরুদ শরিফ, দোয়া-ই মাসুরা এবং অন্যান্য মাসনুন দোয়া পড়া উচিত।
শুদ্ধভাবে নামাজ পড়া শেখা:
নামাজের সঠিক নিয়ম শেখা প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য। নামাজ শেখার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম যেমন, মসজিদ, মাদ্রাসা, ইসলামী প্রতিষ্ঠান, বই, ওয়েবসাইট ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।
পরিশেষে বলা যায়, নামাজ একজন মুসলিমের জীবনে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত ও সঠিকভাবে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে একজন মুসলমান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে পারে এবং তার জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি লাভ করতে পারে।
মানুষকে আল্লাহ সৃষ্টি করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তার আনুগত্য করার জন্য। তন্মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত বা নামাজ আদায় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আনুগত্যের বিষয়গুলোর মধ্যে প্রধান। আসুন, আমরা সবাই চেষ্টা করি ইসলামের পথে চলার।