দক্ষিণখান এলাকায় নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবনের দেয়াল ধসে ১০ বছর বয়সী সুরাইয়া’র মৃত্যু হয়েছে। ঘুমের মধ্যে ঘটনাটি ঘটে ২৭ মে, ২০২৪ সকালে।
ঘটনার বিবরণ:
সুরাইয়া এবং তার বাবা জালাল উদ্দিন আহমেদ দক্ষিণখানের একটি টিনশেড বাসায় থাকতেন।
২৭ মে সকালে, ভবনটির ১১ তলার একটি অংশ ধসে সুরাইয়া এবং জালালের ঘরের টিনের চালার উপরে পড়ে।
ধসে পড়া ইট-সুরকি এবং নিজেদের ঘরের ফ্যান সুরাইয়ার মাথায় আঘাত করে। সুরাইয়ার মাথা ফেটে গেলে তাকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে (কেসি হাসপাতাল) নেওয়া হয়।
নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকাকালীন সুরাইয়ার জ্ঞান ফেরেনি এবং ৩০ মে তিনি মারা যান।
জালাল উদ্দিন আহমেদেরও গুরুতর আঘাত হয়েছে। তার চারটি দাঁত পড়ে গেছে এবং দুই চোয়াল ও নাক ভেঙে গেছে।
পরিবারের দাবি:
ভুক্তভোগী পরিবার নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ধসে পড়ার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দাবি করেছে।
তারা বলেছে যে, ভবনটি নির্মাণে নিরাপত্তার বিষয়ে অবহেলা করা হয়েছে। সুরাইয়ার মৃত্যুর জন্য তারা ক্ষতিপূরণও দাবি করছে।
রাজউকের বক্তব্য:
রাজউকের মুখপাত্র নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেছেন যে, নির্মাণাধীন ভবনটির দেয়াল ধসে পড়ার ঘটনায় নিরাপত্তার বিষয়ে অবহেলা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন যে, রাজউক ইমারত নির্মাণ আইন অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তিনি আরও যোগ করেছেন যে, রাজউক ভবন তদারকির জন্য তৃতীয় পক্ষ (থার্ড পার্টি) নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে।
বিচার চান পরিবার:
সুরাইয়ার মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবার বিচার চায়। তারা বলছে যে তাদের যে ক্ষতি হয়েছে তা আর কোনোভাবেই পূরণ হবে না। এই ঘটনা নির্মাণাধীন ভবন নির্মাণে নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
সুরাইয়া পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত। তার এক বোন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছে। জালাল দৈনিক সমকালের মার্কেটিং বিভাগে জ্যেষ্ঠ নির্বাহী হিসেবে কর্মরত। ঘটনার পর জালালের বড় ভাই সাইফুদ্দিন আহমেদ দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে বহু দেশ থেকে