মার্কেটিং কথাটার সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। মার্কেটিং চাকরি কথাটিও আমাদের সবার পরিচিত। মার্কেটিং চাকরি মানেই আমরা বুঝি কোন কিছু মার্কেটিং করা বা বিক্রি করা।
আসলে মার্কেটিং করা বা বিক্রি করা দুটো বিষয় পরস্পর জড়িত। কথা কিন্তু ভুল নয়, মোটামুটি অর্থবোধক। হয়তো অর্থনীতিতে যারা উচ্চতর ডিগ্রীধারি তারা সংজ্ঞাটা অন্য ভাবে দিতে পারেন।
তো আজ আমরা মার্কেটিং চাকরির বিষয়ে জানবো। মার্কেটিং চাকরি আসলে কেমন, আপনি করতে পারবেন কিনা সেই সব বিষয় তুলে ধরবো। মার্কেটিং চাকরিতে আমার বেশ কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই আশা করছি, ভালো কিছুই পাবেন। তো শুরু করা যাক।
মার্কেটিং চাকরি বেশ চ্যালেঞ্জিং। আমি মূলত ওষুধ কোম্পানীর চাকরির কথা বলবো। তবে অন্য চাকরিগুলো সম্পর্কেও টাচ দেব।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মার্কেটিং চাকরি আর আমাদের দেশের মার্কেটিং চাকরির মধ্যে বিস্তর তফাৎ বিদ্যমান। আমরা বাঙালীরা মোটেই খুব ভালো মানুষ নই।
ওষুধ কোম্পানীতে যারা মার্কেটিং জব করে তাদের বলা হয় এমপিও, এমআইও কিংবা এমআর। অর্থাৎ মেডিকেল প্রমোশন অফিসার, মেডিকেল ইনফরমেশন অফিসার কিংবা মেডিকেল রিপ্রেজেন্টিটিভ। পদবীগুলো কিন্তু যথেষ্ট সুন্দর। শুনতেও ভালো লাগে।
কিন্তু এর ভেতরটার সাজসজ্জা মোটেও ভালো নয়। উপরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট – বিষয়টা প্রায় এইরকম। মেডিকেল ইনফরমেশন অফিসার হিসেবে চাকরি নেয়াটা কঠিন কিছু নয়।
আপনাকে কেবল স্নাতক পাশ করতে হবে অর্থাৎ অনার্স। কিছু কোম্পানী আছে যারা এসএসসি কিংবা এইচএসসি পাশেও লোক নেয়।
তবে আপনি যদি বাংলাদেশের ১ থেকে ৫০ পর্যন্ত কোন কোম্পানীতে চাকরি করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই অন্তত স্নাতক পাশ হতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এইচএসসি পর্যন্ত সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ড চাওয়া হয়। অদূর ভবিষ্যতে এটাও আর থাকবে না।
মার্কেটিং চাকরি নিতে হলে আপনার করণীয়:
আপনার বেশ কিছু করণীয় রয়েছে। আপনাকে প্রথমত স্নাতক পাশ হতে হবে। তারপর সার্কুলারগুলো নিয়মিত দেখতে হবে। সার্কুলারে উল্লেখ থাকে কোথায় আপনার ইন্টারভিউ হবে। সেই অনুযায়ী সেই জায়গায় আপনাকে নির্ধারিত জায়গায় হাজির হতে হবে।
কোন আবেদন করতে হবে না। অনলাইনে কিংবা অফলাইনে কোনভাবেই নয়। আপনাকে আপনার সিভি বা বায়োডাটা এবং সার্টিফিকেটগুলো সাথে নিয়ে যেতে হবে। অনেক সময় শুধু বায়োডাটা লাগে।
নির্ধারিত জায়গায় (সাধারনত ডিপো অফিস) উপস্থিত হওয়ার পর আপনার ইন্টারভিউ শুরু হবে। আপনাকে কিন্তু অবশ্যই ফরমাল ড্রেস পড়ে যেতে হবে। ইন্টারভিউ-এ খুব সাদামাটা কিছু প্রশ্ন করবে।
আপনি যদি সামান্য প্রস্তুতি নিয়ে যান তবে আপনাকে আর হারায় কে। তবে কয়েকটি কোম্পানীতে বেশ প্রতিযোগিতা হয়। বিশেষ করে যেগুলো প্রথম সারির কোম্পানী যেমন স্কয়ার কিংবা বেক্সিমকো।
এইসব কোম্পানীতে ইন্টারভিউ দিতে গেলে একটু ভালো মতো প্রস্তুতি নিয়ে যাবেন। কারন, এই সব জায়গায় প্রতিযোগিতা বেশি হয়।
ইন্টারভিউ শেষ হয়ে গেলে (যদি আপনি পাশ করেন) আপনাকে নির্ধারিত তারিখে হেড অফিস কিংবা তাদের নির্ধারিত অফিসে ১ মাসের ট্রেনিং-এ জয়েন করতে হবে। সেটা কম বেশি হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ৪৫ দিন (ওয়ার্কিং ডে) পর্যন্ত হয়।
ট্রেনিংগুলো মোটামুটি হার্ড হয়। অর্থাৎ আপনাকে চরম নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে এবং কিছুটা পড়াশোনা করতেই হবে। ট্রেনিং চলাকালীন সামান্য কারনেই অনেক’কে বাতিল হতে হয়।
ট্রেনিং শেষ হলে আপনাকে তাদের নির্ধারিত স্থানে জয়েন করতে হবে। সাধারনত আপনার নিজ জেলা থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরে দেয়।
এটা সামান্য কম বেশি হতে পারে। তবে এখানে আপনার করার কিছুই নেই। আপনি কোন সুপারিশ এখানে করতে পারবেন না। যদি কোন আত্মীয়-স্বজন এই লাইনে থাকে তাহলে হয়তো একটু সুযোগ নেয়া যেতে পারে।
ট্রেনিং চলাকালীন হয়তো আপনাকে ১ বেলা খেতে দিতে পারে। আবার নাও দিতে পারে। বিকালে নাস্তা দিতে পারে। এটা আসলে কোম্পানী ভেদে আলাদা আলাদা হয়।
তবে ট্রেনিং শেষ হলে কিছু ভাতা দিতে পারে। টপ টেন কোম্পানীগুলো সাধারনত দেয়। কিন্তু তারপরের পজিশনে থাকা কোম্পানীগুলো দেয় কিনা তা সুনির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।
ট্রেনিং শেষ করে এবার আপনার নির্ধারিত টেরিটরিতে আসার পালা অর্থাৎ যেখানে আপনার নিয়োগ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেখানে আসলেন এবং আপনার কাজ শুরু করলেন।
মার্কেটিং চাকরির বাস্তব পরিবেশ যেমন
মার্কেটিং চাকরির বাস্তব পরিবেশ একেবারেই ভিন্ন। ট্রেনিং করা কালীন আপনার কাছে যেমন মনে হবে ঠিক তার উল্টো। মার্কেটে এসে জয়েন যেদিন করবেন সেদিন থেকেই আপনার কাজ শুরু।
ধরুন আপনি জার্নি করে আসছেন। সকালে জয়েন করলেন। সেই সকাল থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত সেদিন আপনার কাজ করা লাগতে পারে।
এটা নির্ভর করে আপনার বড় ভাই (কলিগ) এবং ম্যানেজারের উপর। তারা ইচ্ছে করলেই আপনাকে সেদিন ছেড়ে দিতে পারে। কিন্তু সাধারনত তারা এটা করে না।
যেদিন জয়েন করলেন সেদিন থেকেই আপনার যাবতীয় কাজ শুরু। সকাল ৬ টা বা ৭ টায় ঘুম থেকে উঠতে হবে। এরপর ফ্রেশ হয়ে নিবেন।
তারপর ফরমাল ড্রেস পড়বেন। রোদ বৃষ্টি গরম যাই থাকুক না কেন, কোন মাফ নাই। তারপর যেখানে রিপোর্টিং প্লেস সেখানে অন্তত ১০ মিনিট আগে উপস্থিত হতে হবে।
ম্যানেজারের কথা ধৈর্য ধরে আপনার শুনতে হবে। সেখানে অবশ্য অনেক ভালো কথাও আলোচনা হয়। কিছু কিছু ম্যানেজার খুব ভালোভাবে কলিগদের পড়াশোনা করায়। এগুলো আসলে ভালো দিক।
একটা কথা আছে না, যদি ইমিডিয়েট বস ভালো হয় তবে সেখানে ক্যারিয়ার সুনিশ্চিত। ঠিক বিষয়টা এরকম। আপনার বস যদি ভালো হয় তবে আপনার জীবন শাইন হবেই হবে।
তো ম্যানেজারের সব কথা শোনার পর আবার আপনার হসপিটাল, ক্লিনিক কিংবা কোন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। তাদের ভিজিট করতে হবে। সাথে আপনার ম্যানেজার থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে।
কোন কোন কোম্পানীর সকালে অর্ডার কাটতে হয়। সেক্ষেত্রে রিপোর্টিং এর পরে আপনাকে অর্ডার কাটতে হবে। এভাবেই দেখবেন ১টা বা ২টা বেজে গেছে। তখন আপনি বাসায় আসতে পারবেন।
বাসায় এসে খাওয়া শেষ করতে করতে ৩ টা বেজে যায়। একটু রেস্ট নিতে না নিতেই আবার বিকেলের কাজের ঘন্টা বেজে যায়। নির্ধারিত জায়গায় আপনাকে ৪.৩০ বা ৫.০০ টার মধ্যে উপস্থিত হতে হবে এবং ম্যানেজারকে কল দিতে হবে অথবা ছবি তুলে পাঠাতে হবে কিংবা এসএমএস করতে হবে।
তারপর শুরু হলো ডাক্তার ভিজিট। এভাবেই আপনার চলবে রাত ১২ টা পর্যন্ত। তারপর আপনি আবার ম্যানেজার স্যারের সাথে সাক্ষত করে বাসায় ফিরতে পারবেন। খাওয়া-দাওয়া এবং বিছানায় যেতে যেতে আপনার অন্তত ১টা বা ২টা বেজে যাবে। ঘুমানোর পরেই দেখবেন সকাল হয়ে গেছে।
মার্কেট ছোট সাইজের হলে একটু তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে পারবেন। তবে শহরে সাধারনত তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরা হয় না। এটা প্রত্যন্ত অঞ্চলে খুবই সম্ভব।
এটা তো নৈমিত্তিক রুটিনের কথা বললাম। এর মধ্যে আপনার আরও অনেক কাজ বাকি আছে। এগুলো সব জানলে আপনি হয়তো আকাশ হতে পরবেন। বলবেন যে, চাকরিও আবার এমন হয়।
আপনার হয়তো ক্রেডিট পার্টি থাকতে পারে। সারা মাস তাদের বাকি দিতে হবে এবং মাস শেষে আপনার গিয়ে টাকা তুলতে হবে। ভালো দোকানদার ২/৪ দিনেই টাকা দিয়ে দেয়। কিন্তু যদি বাজে লোকের পাল্লায় পড়েন তাহলে আপনার জীবন তেজপাতা হয়ে যাবে।
তারপর ঠিক মতো ডাক্তার ভিজিট করছেন কিনা সেটা ম্যানেজার খতিয়ে দেখবে। আপনার কোন কথাই শুনবে না। আপনি কেন ভিজিট করেননি সেটার বিপরীতে আপনি কিছুই বলতে পারবেন না। আপনার কোন কথাই গ্রহণযোগ্য হবে না।
বছরে দুই বার ঈদ হয় আমরা জানি। ঈদের অন্তত ১৫ দিন আগে আপনাকে ‘ঈদ ক্রেডিট’ দিতে হবে। যেমন দোকান তেমন ক্রেডিট।
এই টাকা ঈদের পরে বাসা থেকে এসেই আপনাকে উঠাতে হবে। তখন আপনি এক চরম ঝামেলায় দিন পার করবেন। কারন, খুব অল্প দোকানদার (কেমিস্ট) আপনাকে সময় মতো টাকা দেবে।
তাহলে বাকি টাকা? হ্যা, এখানেই মূল বিষয়। যারা টাকা দিলো না তাদের টাকা আপনার পকেট থেকে কোম্পানীতে জমা দিতে হবে।
আর দোকানদারের কাছ থেকে ধীরে ধীরে আপনার তুলতে হবে। এই হলো অবস্থা। অর্থাৎ আপনি চিন্তা নিয়ে বাসায় যাবেন আবার চিন্তা নিয়েই কর্মস্থলে ফিরবেন। এখানে সুখ বলে কিছু নেই।
এখন, আপনি যদি মনে করেন যে, আপনি ক্রেডিট দিবেন না সেটাও হবে না। আপনার ম্যানেজার (বস) আপনাকে বাধ্য করবে ক্রেডিট দেওয়াতে। কারন, তার সেলস দরকার।
আবার, যেসব কোম্পানীর রেগুলোর ক্রেডিট সেই সব কোম্পানীতে যারা কাজ করে তাদের জীবন তেজপাতা হয়ে যায়। রাত ১২টা কিংবা ১টার পূর্বে বাসায় ফিরতে পারে না। এটা কোনভাবেই সম্ভব নয়।
দোকানগুলোতে টাকার জন্য গিয়ে দাড়িয়ে থাকতে হয়। কিছু বলতে গেলেও অনেকসময় ধমক খেতে হয়। কিছু কিছু কেমিস্ট সেলসম্যানদের মানুষই মনে করে না।
আবার, আপনি রাত ১ টায় ঘুমালেন, আপনাকে উঠতে হবে সকাল ৬টা কিংবা সর্বোচ্চ ৭ টায়। কারন, সাড়ে আট টায় আপনার রিপোর্টিং।
কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায়, আপনার মার্কেট যেখানে সেখান থেকে প্রায় ৩/৪ কিলোমিটার দূরে আপনার রিপোর্টিং রাখবে। এই প্রতিদিন আপনাকে সেখানে সময় মতো যেতে হবে আবার আসতে হবে।
এখানে যে বেতন পাওয়া যায় তা স্ট্যান্ডার্ড – এটা বলতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু এই বেতন তো আপনি পকেটে রাখতে পারবেন না। এর পেছনে অনেকগুলো কারন আছে।
আপনার যা টার্গেট থাকবে সেটা কোনদিনও মার্কেট থেকে সেলস করে পুরোপুরি পূরণ হয় না। মার্কেটে যদি সর্বোচ্চ বিক্রি করা যায় ৫ লাখ টাকা, আপনাকে তারা দিয়ে রাখবে অন্তত সাড়ে ৬ লাখ টাকা।
তার মানে, দেড় লাখ টাকা বেশি। এটা আপনি কোথায় সেলস করবেন? ম্যানেজার যখন আপনার সাথে খুব চাপাচাপি করবে তখন আপনাকে বিপথে হাটতে হবে।
বিপথটা কি? আপনাকে ব্রোকারের কাছে প্রোডাক্ট বিক্রি করতে হবে। আর লস ছাড়া তো ব্রোকারের কাছে বিক্রি করতে পারবেন না।
ধরুন, এক বক্স সার্জেল ২০ এর দাম ৭০০ টাকা। এটা হলো এমআরপি। কোম্পানী থেকে আপনি পাবেন এটা ৬১৬ টাকায় অর্থাৎ ১২%।
এখন এই এক বক্স সার্জেল ২০ যখন আপনি বাইরে বিক্রি করতে যাবেন তখন আপনার কাছ থেকে ব্রোকার কিনে নিতে পারে সর্বোচ্চ ৫৮০ বা ৫৮৫ টাকায় কিংবা আরও কম দামে।
আন্ডার রেটের মার্কেট আপ-ডাউন হয়। তাই এই দাম নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না। তাহলে ১ বক্স সার্জেল ২০ বাইরে ব্রোকারের কাছে বিক্রি করতে গেলে আপনার লস হচ্ছে অন্তত ৩৬ টাকা।
আবার, কোনভাবে কোম্পানী যদি আপনার এই সেলস ধরতে পারে তাহলে আবার চাকরি থাকবে না। তাহলে বুঝুন কতো কঠিন এই সেক্টর।
বাইরে নিয়মিত প্রোডাক্ট বিক্রি করতে গিয়ে অনেকেই নিঃশ্ব হয়ে যায়। অনেকেই চাকরি হারায়। অনেকেই বাড়ি থেকে টাকা পয়সা এনে কোম্পানীকে দিয়ে চাকরি ছেড়ে চলে যায়। এই ঘটনাগুলো বেশি ঘটে ক্রেডিট কোম্পানীগুলোর ক্ষেত্রে।
তবে কিছু পজিটিভ দিক আছে এই চাকরির। যেমন, সবসময় স্মার্ট থাকতে পারবেন। সাধারন মানুষ আপনাকে অফিসার মনে করবে।
তবে এই চাকরির সব গোমর জানে তারা আপনাকে তেমন সম্মান করবে না। তবে মোটের উপর বলা যায়, এখনও সামান্য সম্মান এই চাকরিতে আছে।
মার্কেটিং চাকরি ছাড়াও পৃথিবীতে হাজার হাজার কাজ আছে। মার্কেটিং চাকরিতে আসার আগে অন্তত কয়েকবার ভাবুন। কারন, এখানে একবার ঢুকলে বের হওয়াটা খুবই কঠিন।
ঝামেলা আপনার পিছু ছাড়বে না। ফ্যামিলিকে সময় দিতে পারবেন না, কোথাও ঘুরতে পারবেন না, টাকা পয়সা থাকবে না। আবার আন্ডাররেটে প্রোডাক্ট বিক্রি করে ভয় নিয়ে থাকতে হবে।
লস দিতে দিতে আপনার ঋণ হয়ে যেতে পারে। তখন আপনি কিভাবে বের হবেন- আপনিই একবার চিন্তা করুন। তাই এই জগতে পা দেবার আগে কয়েকবার ভাবুন।
হ্যা, গুটিকয়েক ব্যক্তি এখানে ক্যারিয়ার করতে পারে। তবে সেটা হাতে গোনা। তবে তারাও যে খুব একটা ভালো থাকে বিষয়টি এমন নয়। তাদের আরো দায়িত্ব বেশি থাকে। তবে তাদের পকেট থেকে কোন টাকা লস হয় না।
আর এই কারনেই তারা চাকরিটা কন্টিনিউ করতে পারে। কিন্তু চুল দাড়ি পাকতে সময় লাগে না এবং বুড়ো হতেও বেশি সময় লাগে না। সারাক্ষণ একটা পীড়ার মধ্যে থাকতেই হয়।
সবশেষে বলবো, জীবন আপনার সিদ্ধান্তও আপনার। আমি শুধু মার্কেটিং চাকরি তথা ওষুধ কোম্পনীর চাকরির কাহিনী তুলে ধরলাম। যদি ভালো লাগে তবে আসুন, আপনাকে স্বাগতম।
আর যদি খারাপ লাগে, নিজেকে অযোগ্য মনে হয় তবে আসতে না করতেছি। কারন, মানসিক শান্তি নিয়ে বাঁচতে চাইলে এখানে না আসাই ভালো। ইচ্ছা থাকলেই যেকোন কিছু করা সম্ভব। ইচ্ছা শক্তি জীবনের সব কিছুকে জয় করতে পারে।
আর মূল ব্যাপার হলো, সৎ ভাবে বাঁচতে চাইলেও এখানে আসার দরকার নেই। কারন, সততা নিয়ে এখানে খুব বেশিদিন চাকরি করতে পারবেন না। জ্ঞান এবং সততার মূল্যায়ণ এখানে খুব কমই হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) স্পোর্টস ফিজিওথেরাপিস্ট (মহিলা) পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি