আজ আমি নির্ভয়ে সবকিছু লিখবো। আজ আমার আর কোন ভয় নেই। আজ আমার আনন্দের শেষ নেই। এই আনন্দ আমি রাখবো কোথায়! এই আনন্দ, এই বিজয়, এই স্বাধীনতা আমি তাদের জন্যই উৎসর্গ করছি যারা আন্দোলনে নিহত হয়েছেন। আল্লাহর কাছে সকল শহীদদের জন্য শান্তি কামনা করছি। আজ আমার আনন্দ দেখে কে! আজ আমি স্বাধীন। এতোদিন পরাধীন ছিলাম।
২০০৮ সালে আমি ৮ম শ্রেণীতে পড়ি। তখন থেকেই দেখেছি আওয়ামীলীগ নামক হিংসাত্মক এই দলটির কার্যক্রম। তারা চরম হিংসাত্মক ও আক্রমনাত্মক ছিল। তারা তাদের মতো করে দেশ চালিয়েছে। কখনো জনগণের কথা চিন্তা করেনি। কতো কান্ড ঘটেছে (বালিশ কান্ড, ছাগল কান্ড) তার কোন ইয়ত্তা নেই। তারপরেও তাদের বিরুদ্ধে ছিলো না কোন অভিযোগ।
ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই শেখ হাসিনা সরকার হয়তো একটু নড়েচড়ে বসেছিল। কিন্তু তারা পুলিশ বাহিনী দিয়ে গুলি করে অনেক শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে। রাতের আধারে তাদের গণকবর দিয়েছে। কতো সন্তান হারা মা কেঁদেছে তার কোন শেষ নেই। তারপরেও তাদের টনক নড়েনি। তারা তাদের ক্ষমতার দাম্ভিক্য দেখিয়েই যাচ্ছিল।
কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো। শেষ পর্যন্ত পালিয়ে যেতে হলো ভারতে। আজ ০৫/০৮/২০২৪ইং দুপুর ২.৫০ মিনিটে শেখ হাসিনা সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার করে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ছাত্র-জনতা আজ গণভবন দখলে নিয়েছে। আর একটু দেরি করলে শেখ হাসিনা হয়তো জনতার হাতে আটকা পড়ে যেত। আর তখন কি হতে পারতো সেটা আর বললাম না, অনুমান করে নেন।
আজ বাংলাদেশের বিজয় হয়েছে। সবার মুখে হাসি ফুটেছে। এমপি, মন্ত্রীগণ সবাই গা ঢাকা দিয়েছে। আওয়ামীপন্থী কোন চামচাকেও আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সত্য কথা বলতে কি, জালিমের জুলুমের বেশিদিন টেকসই হয় না। ১৫ বছর ধরে মানুষকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে উনি শেষ করে দিয়েছেন। এতো এতো দুর্নীতি বোধ হয় দুনিয়ার আর কোন দেশেই নাই।
আপডেট হবে…