প্রচণ্ড গরম, বন্যা ও শিলাবৃষ্টির কারণে দেশের কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। মাছ মরছে, হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর মৃত্যু হচ্ছে, ফসল কাটার জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এসব প্রতিকূল আবহাওয়ার ফলে কৃষি উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। কৃষিবিদরা আসন্ন বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন।
কৃষিবিদদের বক্তব্য:
বিশ্বের মাত্র ০.১% চাষাবাদযোগ্য ভূমি থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিশ্বের ২.৭% জনসংখ্যার খাদ্য সরবরাহ করে। ধান ও মাছসহ বিভিন্ন কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি হার কমছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় কৃষিব্যবস্থাকে জলবায়ু সহনশীল করতে হবে। গ্রিনহাউস বা নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে কৃষি উৎপাদনের উপর জোর দিতে হবে।
দেশে কম খরচের কৃষি প্রযুক্তি প্রয়োজন। বিদেশে রপ্তানির জন্য কৃষি খাতকে প্রস্তুত করতে হবে।
স্থানীয় বাজারে নিরাপদ খাদ্যের চাহিদা মেটাতে বাজেটে নজর দিতে হবে। দুধ উৎপাদনকারী গরিব কৃষকদের ভর্তুকি সরাসরি তাদের হাতে দিতে হবে।
কর্মশালা:
বাংলাদেশ একাডেমি অব অ্যাগ্রিকালচার গত শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে \\\”বাংলাদেশ: খাদ্য নিরাপত্তা থেকে বাজারচালিত কৃষি প্রবৃদ্ধিতে রূপান্তর\\\” শীর্ষক একটি কর্মশালা আয়োজন করে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে জিডিপিতে কৃষির অবদান ছিল ৩৭ কোটি মার্কিন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলারে।
গত দুই দশকে দেশে ধান উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি হার অনেক কমেছে। সরকার ভর্তুকি দিলেও তা দুধ উৎপাদনকারী গরিব খামারিরা পাচ্ছে না।
পরিশেষে বলা যায়, প্রতিকূল আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আসন্ন বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা জরুরি।
আরও পড়ুন: মরিচ চাষ | লাভবান হওয়ার জন্য একটি বিস্তারিত নির্দেশিকা