বৃহস্পতিবার স্লোভেনিয়া সরকার ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী রবার্ট গোলব এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে গেলে দেশটির পার্লামেন্টের অনুমোদন প্রয়োজন। আগামী মঙ্গলবার পার্লামেন্টে এ বিষয়ে ভোটাভুটি হবে বলে জানা গেছে।
ইউরোপে বেড়ে চলছে সমর্থন:
গত ২৮ মে স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। এর আগে সুইডেন, সাইপ্রাস, হাঙ্গেরি, চেক প্রজাতন্ত্র, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও বুলগেরিয়াও একই পদক্ষেপ নিয়েছিল। মাল্টাও এই পথ অনুসরণ করার ঘোষণা দিয়েছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের অবস্থান:
যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে। ফ্রান্স বলেছে, এই স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এখন সঠিক সময় নয়। ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি মনে করে, একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান সম্ভব।
ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া:
ইসরায়েল এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ মনে করছেন, স্লোভেনিয়ার পার্লামেন্টে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির বিষয়টি অনুমোদন পাবে না।
গত বছরের হামলা ও তার প্রভাব:
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এর জবাবে ইসরায়েল গাজায় পাল্টা আঘাত হানে। এ সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৬ হাজার ২২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৮২ হাজার মানুষ আহত হয়েছে।
এই দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ১৬ জেলায় ৮ থেকে ১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা!