বর্তমান যুগে আমাদের সবার হাতে একটি স্মার্টফোন রয়েছে। এই ফোন ব্যবহার করে ঘরে বসেই আয় করা সম্ভব, যদি আমরা আমাদের দক্ষতাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারি। ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা লোকদের জন্য কিছু সহজ কাজ রয়েছে, যেগুলো মোবাইল ফোন দিয়ে করা সম্ভব। তবে কিছু উন্নত ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের জন্য ল্যাপটপ বা পিসি প্রয়োজন হতে পারে।
নিচে কিছু কাজের তালিকা দেওয়া হলো, যেগুলো আপনি সহজে মোবাইল ফোন দিয়ে করতে পারেন:
সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশন (SMO)
এটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল এবং পোস্টগুলোকে এমনভাবে সাজানো যা দেখতে সুন্দর এবং প্রফেশনাল মনে হয়, যা দর্শকদের আকৃষ্ট করবে।
উদাহরণ:
ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইল বায়োতে কীওয়ার্ড ব্যবহার করা অথবা ইন্সটাগ্রাম এবং ফেসবুক পোস্টে প্রাসঙ্গিক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে রিচ বাড়ানো।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্মগুলি ম্যানেজ করা, কনটেন্ট পোস্ট করা এবং ফলোয়ারদের সাথে যোগাযোগ করা।
উদাহরণ:
কোনো ছোট ব্যবসার ফেসবুক পেজ ম্যানেজ করা এবং দৈনিক পোস্টিং ও কমেন্ট ম্যানেজ করা।
ক্যানভা দিয়ে ডিজাইন করা
ক্যানভা মোবাইল অ্যাপ দিয়ে প্রফেশনাল গ্রাফিক্স, পোস্টার, ব্যানার, সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট ডিজাইন করা যায়।
উদাহরণ:
আপনার মোবাইল দিয়ে ক্যানভা অ্যাপ ব্যবহার করে ফেসবুকের জন্য আকর্ষণীয় কভার ফটো বা ইনস্টাগ্রাম পোস্ট ডিজাইন করা।
কনটেন্ট তৈরি করা
মোবাইল দিয়ে ব্লগ, ভিডিও, ক্যাপশন এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জন্য কনটেন্ট তৈরি করা যায়।
উদাহরণ:
চ্যাটজিপিটি অ্যাপ ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ার ক্যাপশন বা ব্লগের জন্য কনটেন্ট আইডিয়া বের করা।
ফেসবুক মার্কেটিং উইথ ফেসবুক এডস
মোবাইল থেকে ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজার অ্যাপ বা ব্রাউজার থেকে ডেস্কটপ মোড ব্যবহার করে সহজেই ফেসবুক অ্যাড তৈরি এবং ম্যানেজ করা যায়।
উদাহরণ:
ফেসবুক অ্যাডসের মাধ্যমে নির্দিষ্ট লোকেশন বা অডিয়েন্সের জন্য আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের জন্য মার্কেটিং করা।
ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং
ইন্সটাগ্রামে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের জন্য কনটেন্ট পোস্ট করা এবং স্টোরিজ ব্যবহার করে অডিয়েন্সের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রাখা।
উদাহরণ:
ইন্সটাগ্রামে প্রোডাক্টের ভিডিও এবং হ্যাশট্যাগ সহ রিল পোস্ট করা এবং স্টোরিজ দিয়ে অডিয়েন্সের সাথে এনগেজ করা।
টুইটার মার্কেটিং
টুইটারের মাধ্যমে ব্র্যান্ড প্রমোশন করা এবং ট্রেন্ডিং টপিকের সাথে যুক্ত থেকে কনটেন্ট শেয়ার করা।
উদাহরণ:
টুইটারে নিয়মিত টুইট এবং রিটুইট করে ব্র্যান্ডের এওয়ারনেস বৃদ্ধি করা।
ক্যাপকাট মোবাইল অ্যাপ দিয়ে ভিডিও এডিট
ক্যাপকাটের মাধ্যমে মোবাইলে সহজেই ভিডিও এডিট করা যায়, যা আপনি সোশ্যাল মিডিয়া বা ইউটিউবে ব্যবহার করতে পারেন।
উদাহরণ:
ক্যাপকাট ব্যবহার করে প্রোডাক্ট রিভিউ ভিডিও এডিট করা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা।
ইমেইল মার্কেটিং
মোবাইল দিয়ে ইমেইল মার্কেটিং টুলস (যেমন: Mailchimp, Sendinblue) ব্যবহার করে সহজেই ইমেইল ক্যাম্পেইন তৈরি এবং ম্যানেজ করা যায়।
উদাহরণ:
মোবাইল অ্যাপ দিয়ে নিউজলেটার তৈরি করা এবং তা আপনার সাবস্ক্রাইবারদের কাছে পাঠানো।
বেসিক ইউটিউব ম্যানেজমেন্ট
মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল ম্যানেজ, ভিডিও আপলোড করা এবং ভিডিও থাম্বনেইল ডিজাইন করা যায়।
উদাহরণ:
মোবাইল অ্যাপ দিয়ে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করা এবং থাম্বনেইল সেট করা।
ক্লায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট
মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপ (যেমন: Trello, Slack, Google Meet) ব্যবহার করে ক্লায়েন্টদের সাথে সহজেই যোগাযোগ এবং প্রজেক্ট ম্যানেজ করা যায়।
উদাহরণ:
Trello ব্যবহার করে প্রজেক্ট ট্র্যাক করা এবং Slack দিয়ে ক্লায়েন্টদের সাথে মেসেজিং করা।
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম ম্যানেজমেন্ট
মোবাইল দিয়ে Fiverr, Upwork, এবং Freelancer এর মতো ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করা এবং প্রজেক্ট ডেলিভারি করা।
উদাহরণ:
Fiverr এর মোবাইল অ্যাপ দিয়ে ক্লায়েন্টদের অর্ডার ম্যানেজ করা এবং ফ্রিল্যান্স সার্ভিস অফার করা।
SEO বেসিক টাস্ক
মোবাইল দিয়ে বেসিক SEO টাস্ক যেমন: কিওয়ার্ড রিসার্চ, ওয়েবসাইট অডিট এবং ব্যাকলিংক চেক করা যায়।
উদাহরণ:
Google’s Keyword Planner ব্যবহার করে মোবাইলে কিওয়ার্ড রিসার্চ করা এবং ওয়েবসাইটের SEO পারফরম্যান্স ট্র্যাক করা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং: নতুন যুগের কর্মসংস্থান সম্ভাবনা