সরকার সম্প্রতি ডিম, সোনালি মুরগি, এবং ব্রয়লার মুরগির মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। উৎপাদক, পাইকারি এবং খুচরা পর্যায়ে ভোক্তাদের জন্য এই নতুন মূল্য প্রযোজ্য হবে। এর ফলে ডিমের খুচরা মূল্য ১১ টাকা ৮৭ পয়সা, সোনালি মুরগির প্রতি কেজি ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা, এবং ব্রয়লার মুরগির প্রতি কেজি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারিত হয়েছে।
মূল্য নির্ধারণের পেছনের কারণ
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সই করা এক চিঠিতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, কৃষি বিপণন অধিদফতর, প্রাণিসম্পদ অধিদফতর এবং পোলট্রির সাথে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সুপারিশের ভিত্তিতে এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের জন্য যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণের উদ্দেশ্য হলো ভোক্তাদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা এবং পোলট্রি শিল্পের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মূল্য
ডিমের মূল্য উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ০১ পয়সা, এবং খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। একইভাবে সোনালি মুরগির ক্ষেত্রে উৎপাদক পর্যায়ে প্রতি কেজি ২৬০ টাকা ৭৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ২৬৪ টাকা ৫৭ পয়সা, এবং খুচরা পর্যায়ে ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্রয়লার মুরগির ক্ষেত্রে উৎপাদক পর্যায়ে প্রতি কেজি ১৬৮ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১৭২ টাকা ৬১ পয়সা, এবং খুচরা পর্যায়ে ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাস্তবায়নের নির্দেশনা
এই মূল্য বাস্তবায়নের জন্য সকল বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দফতরের পরিচালকদের নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রি, ফিড ইন্ডাস্ট্রি, এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতৃবৃন্দের কাছেও এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে সরকারের নির্ধারিত মূল্য যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
পরিশেষে বলা যায়, সরকারের এই পদক্ষেপ পোলট্রি খাতে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভোক্তারা ন্যায্য মূল্যে ডিম ও মুরগি পেতে সক্ষম হবে, একই সাথে পোলট্রি খাতের উৎপাদকরাও সঠিক মূল্য পাবেন।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে হামলায় বিএনপি’র স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা নিহত, আহত ৫০ জন