Subscribe to Updates
Get the latest creative news from FooBar about art, design and business.
- ক্ষুধার জ্বালা মেটাতে এসে নির্মম মৃত্যুর শিকার তোফাজ্জল: হলের শিক্ষার্থীদের পিটুনিতে নিভে গেল একটি নিরীহ প্রাণ
- সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়সসীমা: পরিবর্তনের পথে!
- সেনাবাহিনী ম্যাজেস্ট্রেসি ক্ষমতায় যা যা করতে পারবেন
- ফাস্টিং ব্লাড সুগার: কী পরিমাণ হওয়া উচিত?
- প্রাথমিক চিকিৎসা: জীবন রক্ষার প্রথম পদক্ষেপ
- শাহরিয়ার কবির, সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত ৭ দিনের রিমান্ডে
- সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলী গ্রেপ্তার
- ডিম ও মুরগির মূল্য নির্ধারণে সরকারের সিদ্ধান্ত
Author: Sadek
আজ আমি নির্ভয়ে সবকিছু লিখবো। আজ আমার আর কোন ভয় নেই। আজ আমার আনন্দের শেষ নেই। এই আনন্দ আমি রাখবো কোথায়! এই আনন্দ, এই বিজয়, এই স্বাধীনতা আমি তাদের জন্যই উৎসর্গ করছি যারা আন্দোলনে নিহত হয়েছেন। আল্লাহর কাছে সকল শহীদদের জন্য শান্তি কামনা করছি। আজ আমার আনন্দ দেখে কে! আজ আমি স্বাধীন। এতোদিন পরাধীন ছিলাম। ২০০৮ সালে আমি ৮ম শ্রেণীতে পড়ি। তখন থেকেই দেখেছি আওয়ামীলীগ নামক হিংসাত্মক এই দলটির কার্যক্রম। তারা চরম হিংসাত্মক ও আক্রমনাত্মক ছিল। তারা তাদের মতো করে দেশ চালিয়েছে। কখনো জনগণের কথা চিন্তা করেনি। কতো কান্ড ঘটেছে (বালিশ কান্ড, ছাগল কান্ড) তার কোন ইয়ত্তা নেই। তারপরেও তাদের…
সত্যিই আমরা এক ভয়াবহ সময় পার করছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার এই ৩০ বছর বয়সে যতগুলো খারাপ সময় পার করে এসেছি তন্মধ্যে এটিই সবচেয়ে জঘন্যতম ও নিকৃষ্টতর। আমি যখন এই লিখা লিখছি তখনও দেশ বিভীষিকাময়। মানুষ ঘরের বাইরে বের হতে নিরাপদ বোধ করছে না। এখনও কারফিউ শেষ হয়নি। কখন কাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে তার কোন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না। কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের অবস্থা যে এমন হবে তা কেউ বোধ হয় কল্পনাও করেনি। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হলো – এই আন্দোলনে অনেকগুলো প্রাণ ঝরে গেছে। বেশ কিছু নিষ্পাপ প্রাণও ঝরে গেছে। ঘরের মধ্যে থেকে বাইরের অবস্থা জানালা দিয়ে দেখতে…
মানুষ বলতেই আমরা জানি – এরা সভ্য জাতি। কিন্তু এই সভ্য জাতি ধীরে ধীরে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। সভ্য আর অসভ্য। হয়তো আমার কথাগুলো কঠিন মনে হচ্ছে। পুরো আর্টিকেল পড়লেই বুঝে যাবেন আমি কি বলতে চাচ্ছি। আজ থেকে ২০ বছর পূর্বে ফিরে যান। তখন রাস্তা-ঘাটে শিক্ষকের সাথে দেখা হলে আমরা সাইকেল থেকে নেমে সালাম দিতাম। শিক্ষকরা খুশি হতেন। তারাও আমাদের খুব স্নেহ করতেন। প্রয়োজনে শাসনও করতেন। শুধু শিক্ষক-ই নয়, আমাদের চেয়ে যারা বড় তাদের আমরা শ্রদ্ধা করতাম। প্রয়োজনে মাথা নীচু করে যেতাম। তারা কোন আদেশ, উপদেশ বা নিষেধ করলে তা মানতাম। এখন ২০ বছর পরের অবস্থার অর্থাৎ এখনকার অবস্থার কথা বলি।…
২০২৪ সালের জানুয়ারী মাস থেকেই দিনগুলো কোনরকম ভালোই যাচ্ছিল। একটি বেসরকারি কোম্পানীতে চাকরি করি। সুতরাং কাজের চাপ, সেলস টার্গেট এর চাপ তো থাকবেই। সবকিছু মেনে নিয়েই দিনগুলো যাচ্ছিল। জুলাই ২০২৪ – এটিও ভালোই যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হলো কোটা সংস্কার আন্দোলন। সরকারি চাকরিতে প্রবেশে সবমিলে ৪৭% কোটা ছিল। এটা ২০১৮ সালে বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু পরে আবার বলবৎ হয়ে যায়। আন্দোলনটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হলেও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। দিন রাত সারাক্ষণ মিছিল হতে থাকে। সাধারন মানুষ বুঝতে পারে যে, এই আন্দোলন এতো সহজে থামবে না। সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ আসে যে, আন্দোলন করলে কোন সমস্যা…
একটা ভুল সিদ্ধান্ত জীবনের অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে। সিদ্ধান্ত নিতে হলে বার বার ভাবা উচিত। একটা সিদ্ধান্ত যেমন জীবনের মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারে আবার জীবনকে শেষও করে দিতে পারে। আজ আমার বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া একটা ভুল সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। এখান থেকে কিছুটা হলেও শিক্ষা নিতে পারবেন। আমি তখন ইন্টার পাশ করেছি। ডিগ্রি কলেজে বিএসএস গ্রুপে ভর্তি হয়েছি। সামনে ছিল ২য় বর্ষের পরীক্ষা। আমার বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দূরে একটি ছোট বাজারে আমার একটি কম্পিউটারের দোকান ছিল। কম্পিউটার বিক্রি করতাম এমন নয়। কম্পিউটার সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ করতাম যেমন প্রিন্টিং, স্ক্যান, অনলাইনে ভর্তি, ছবি তোলা ইত্যাদি। মোবাইলের মেমোরী লোডও…
পৃথিবীতে যত ধর্ম আছে তন্মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে শান্তি প্রিয় ধর্ম। এই ধর্মের সকল মানুষ একজন সত্তায় বিশ্বাসী আর তিনি হলেন মহান আল্লাহতায়ালা। আমি নিজেও একজন মুসলিম আর তাই আমি গর্বিত। আমাদের শেষ নবী ও রাসুল হলেন হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)। একরাশ দুঃখ নিয়ে বলতে হচ্ছে এই ইসলাম থেকে মানুষ ধীরে ধীরে দূরে সরে যাচ্ছে। এমন না যে মুসলিমরা দিনের দিন অন্য ধর্মের দিকে ধাবিত হচ্ছে কিন্তু তারা ইসলামের নিয়ম-নীতি থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। নিজেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে। নামে মাত্র মুসলিম থেকে কোনো লাভ নেই। মুসলিম হিসেবে আমাদের উপর অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। বিধি নিষেধ রয়েছে। আমরা যদি এসব না মেনে চলি…
ওষুধ ব্যাপারটি বর্তমানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওষুধ ছাড়া আমরা যেন একদিনও চলতে পারি না। আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ওষুধকেও ওটিসি বানিয়ে ফেলছি। আর এই জন্যেই সমস্যা আমাদের পিছু ছাড়ে না। ওষুধ খাওয়ার ব্যাপারে আমাদের অনেক সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আজ এ বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবো ইনশাআল্লাহ। মনোযোগ দিয়ে পোস্টটি পড়ুন, আশা করি উপকার ব্যতীত অপকার হবে না। আদিম যুগে আমরা একটু ফিরে যাই। আজ থেকে ১০০ বছর আগে এখনকার মতো এতো রোগ ছিল না। এতো হসপিটাল ছিল না। এতো এতো ওষুধ ছিল না। তারপরেও মানুষ বেঁচে থাকতো প্রায় ১১০ বছর, ১২০ বছর বা তারও বেশি। আর এখন তো ৫০ পার হলে…
মোবাইল আসক্তি আসলে একটা নেশার মতো। নির্দিষ্ট সময়ে নেশা না করলে যেমন শরীরে ছটফট শুরু হয় তেমনি নির্দিষ্ট সময়ে হাতে মোবাইল না এলে বাচ্চাদের অস্থিরতা শুরু হয়। কিন্তু এই অস্থিরতা ভালো লক্ষণ নয়। যারা মোবাইলে আসক্ত তারা এটাকে ঠিক নেশা মনে করে। বস্তুত তারা ভালো কোন কিছুই শিখতে পারে না। আর যারা শিখে তাদের মধ্যে কখনো আসক্তি হয় না। তারা নির্দিষ্ট দরকারে ফোন হাতে নেয় এবং দরকার শেষ হলে ফোন রেখে দেয়। মোবাইল আসক্তি থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখার জন্য অভিভাবকদের জন্য আমার পক্ষ থেকে কিছু পরামর্শ রয়েছে। আশা করি, পরামর্শগুলো আপনারা সাদরে গ্রহণ করবেন। ১. বাসায় যে মোবাইলটি রয়েছে সেটি…
আমি ২০১১ সালে এসএসসি পাশ করি। আর এইচএসসি পাশ করি ২০১৩ সালে। তারপর কি করতে চেয়েছিলাম আর কি করেছি তা এই লিখায় পাবেন। কিন্তু পাশের পরপরই আমার সাথে এক দূর্বিষহ ঘটনা ঘটেছিল অর্থাৎ আমি প্রায় ঘটিয়েই ফেলেছিলাম। শেষ পর্যন্ত বেঁচে ফিরে এসেছি। আজ সেই ঘটনাটাই শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। আমি এইচএসসি পাশ করি ২০১৩ সালে। সে সময় দেবীগঞ্জ সরকারি কলেজ (বর্তমান নাম) এর নাম ছিল দেবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ। আমি পাশ করার কিছুদিন আগেই সেটা সরকারি হয়ে যায় এবং আমি আমার সার্টিফিকেট-এ সরকারি ট্যাগ পাই। আমি বিজ্ঞান বিভাগে পড়তাম। তখন আমি একটি মেয়েকে ভালোবাসতাম। তার সাথে নিয়মিত কথা বলতাম। দেবীগঞ্জে কলেজের…
ছোটবেলায় যখন কিছুই বুঝতাম না তখন ভাবতাম না জানি পৃথিবীটা কতো সুন্দর! বড় হলে কতোই না জানি আনন্দ উপভোগ করতে পারবো। কতোই না সুখ শান্তি পাবো। কিন্তু পরিস্থিতি আমায় বুঝিয়ে দিচ্ছে – এক অশান্ত পৃথিবীতে আমি বাস করছি। আমার নিজেরই নিরাপত্তা নাই, আমি আর কার পাশে দাড়াবো আর কাকেই বা সাহায্য করবো। আমি তো নিজেই আমার চোখের জল মুছতে মুছতে ক্লান্ত। আমি আর কার চোখের জল মুছবো। এ অশান্ত পৃথিবী আমায় একদম শান্ত বানিয়ে দিচ্ছে। আমায় পঙ্গু করে দিচ্ছে। আমার অন্তরের মধ্যে ফুটে ওঠা শত পদ্মকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। যখন আমার চারপাশে তাকাই আমি অবাক হয়ে যাই। মুষ্টিমেয় কিছু লোক…