শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে বাতিল হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুতের জন্য ৪০ দিনের মধ্যে প্রকাশের একটি প্রাথমিক পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) শিক্ষা বোর্ডগুলোর কর্মকর্তাদের প্রথম বৈঠকে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাসার জানিয়েছেন, পরীক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করতে ফলাফল প্রস্তুত করা হবে। যেসব পরীক্ষার নম্বর ইতোমধ্যেই পাওয়া গেছে এবং যেগুলো হয়নি সেগুলোর সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফলাফল প্রস্তুত করা হবে।
অধ্যাপক আবুল বাসার আরো বলেন, এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হলে জেএসসির ফলাফল বিবেচনায় নেয়া হবে। জেএসসিতে খারাপ ফল হলে সাতটি বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ে কেমন ফল হয়েছে, সেটি গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হবে। সর্বশেষে, শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে, ২০ আগস্ট দুপুরে, হাজার হাজার এইচএসসি পরীক্ষার্থী সচিবালয়ে প্রবেশ করে। তারা পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে এবং যেসব বিষয় পরীক্ষা হয়েছে, তার ভিত্তিতে ফল প্রকাশের দাবি জানান। আন্দোলনকারীরা তাদের আহত হওয়ার ঘটনা এবং পড়াশোনার ক্ষতির কথা উল্লেখ করেন।
পরবর্তীতে, শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ আব্দুর রশিদের সাথে বৈঠকে বসেন। এ সময় সচিবের কক্ষের বাইরে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেন অনেক পরীক্ষার্থী।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় ৩০ জুন থেকে। ১ জুলাই থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলেও ঢাকা বোর্ডের সাতটি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন বোর্ডের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলনের তীব্রতার কারণে কিছু পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয় এবং কিছু পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাত্যহিক সমাবেশের শপথ বাক্য পরিবর্তন